ক্যাম্পাসে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টনবকুমার:
রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসগুলোতে সকল প্রকার অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।
সাম্প্রতিক সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপিড়ন বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতা কর্মীরা। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা ধর্ষক সেঞ্চুরি মানিকের গ্রেফতার ও বহিষ্কার দাবি করে।
তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম লড়াই করে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সে দিন ধর্ষক সেঞ্চুরি মানিককে বহিষ্কার করতে বাধ্য করে।
গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যলয়-বুয়েটের ছাত্রী সাবিকুন্নাহার সনি হত্যার প্রতিবাদে গড়ে উঠা আন্দোলনেও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতৃত্ব দেন। সেই দিনও ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের মত সন্ত্রাসীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করতে বাধ্য করা হয় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ৩৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ৩৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে । এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় এতে তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রফ্রন্টের নেতা কর্মীসহ বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করে।এসময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন বলেন,বর্তমান সময়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের-যৌন নিপিড়কদের বিরুদ্ধে জোর আন্দোলন করে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করা হবে বলে ঘোষনা দেন ।
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। যেখানেই সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের একজন কর্মী থাকবে সেখানে সন্ত্রাস দখল দারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগ হামলা করে অজুহাত দাঁড় করিয়েছে ছাত্ররা নাকি ভিসিকে আটকে রেখেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন তাহলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন ছাত্র জোটের নেতাদের উপর হামলা হলো? সেখানে তো কেউ ভিসিকে আটকায় নি।
হলগুলোতে দখল দারিত্বের প্রশ্নে তিনি বলেন ছাত্রলীগের কর্মসূচীতে যায় নাই বলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কর্মি ইভাকে কিভাবে হল থেকে রাতের বেলায় বের করে দিলো । সেখানেও সামাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কর্মীরা লড়াই করেছে।
১৯৯২ সালে যখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজগুলোকে বের করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয় তখনও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট দাবি করে দেশের ঐতিহ্যবাহি কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষনা করার। কিন্তু তা না করে আজ আবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্তির কথা বলা হয়েছে।
পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকার ৭ কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
তিনি আরোও বলেন অধিভূক্তি বাতিলের আন্দোলনে সমাজাতন্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থন দেয় নি। কিন্তু যেভাবে এই আন্দোলন দমন করা হয়েছে তার মধ্য দিয়ে প্রমান হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতটুকু অগনতান্ত্রিক।
সেখানে ভিন্ন মত দমনে ছাত্রলীগ-প্রশাসন সন্ত্রাসের ভূমিকায় অবর্তীন হন। অধিভুক্ত কলেজগুলোর সেশনজট নিরসন ও ছাত্রদের জীবন নির্বিগ্ন করার দাবি করেন।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক প্যানেল নির্বাচন হয়, সিনেট নির্বাচন হয়, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন হয় কিন্তু যে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সেই শিক্ষার্থীদের ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ আছে কেন?
আগামী ২৯ তারিখে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ডাকা ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানানা তিনি। সমাবেশ শেষে একটি র্যালী বের করা হয় । র্যালীটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিন করে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।